দীর্ঘজীবী পত্রিকা | ভারতী
30 May 2024
ভারতী পত্রিকা শুরু হয় ১৮৭৭ সালে। ১৯২৬ সাল ভারতীর ৫০তম ও শেষ বছর। জুবিলি বছরেই প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ভারতীর Puja Number (ছবি: https://indianculture.gov.in)। এরপর কার্তিক সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল। কার্তিক সংখ্যার পরেই ভারতীর প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। ৫০ বছরে মোট ৮ বার ভারতীর সম্পাদক পরিবর্তন হয়েছে। মহিলা সম্পাদিত দীর্ঘজীবী পত্রিকা হিসাবেও ভারতী একটি উজ্জ্বল উদাহারণ। ৫০ বছরের মধ্যে প্রায় ৩০ বছর বিভিন্ন সময়ে সম্পাদনা করেছেন স্বর্ণকুমারী দেবী, হিরণ্ময়ী দেবী ও সরলা দেবী।
একাধিকবার সম্পাদক পরিবর্তন বাংলা পত্রিকা পরিচলনার ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। পত্রিকা সম্পাদনা বেশিরভাগ সম্পাদকেরই প্রাথমিক কার্যভার বা পেশা না হলেও, পত্রিকা প্রকাশ ও পরিচালনাকে তাঁরা একটি সামাজিক কর্তব্য বলে মনে করতেন। তাঁরা জড়িয়ে থাকতেন পরিবার, ব্যবসা, চাকরি, নানা সামাজিক কাজ, নিজস্ব লেখালিখি ও প্রকাশনার কাজে। ঠাকুরবাড়ির পত্রিকা ভারতীর সম্পাদনার ক্ষেত্রে, এই কথা অনেকটাই মিলে যায়।
বঙ্গদর্শন পত্রিকার প্রকাশ যখন অনিশ্চয়তার মুখে, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতী প্রকাশের উদ্যোগ নেন। দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীর প্রথম সম্পাদকের ভার গ্রহণ করলেও পত্রিকার পরিচালনার দায়িত্বে থাকলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। দ্বিজেন্দ্রনাথ তখন তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা নিয়েও ব্যস্ত।
সাত বছর চলার পর পারিবারিক পত্রিকা, ভারতীর প্রকাশনায় প্রথম ধাক্কা, কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় ঘোষণাও করে দেওয়া হয়েছিল ভারতী আর প্রকাশ করা হবে না। কিন্তু এই সময়ে হাল ধরেন স্বর্ণকুমারী দেবী; দাদা ও ভাইদের সহযোগিতার সাথে সাথে স্বর্ণকুমারী পেয়েছিলেন তাঁর দুই মেয়ে হিরণ্ময়ী দেবী ও সরলা দেবীর সহযোগিতা। এক দশক পর স্বর্ণকুমারীর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে ভারতীর যুগ্ম সম্পাদক হলেন হিরণ্ময়ী ও সরলা। রবীন্দ্রনাথ তখন সাধনা নিয়ে ব্যস্ত। দুই বোন ৩ বছর ভারতী সম্পাদনা করেন। সাধনা বন্ধ হয়ে গেলে রবীন্দ্রনাথ ভারতীর সম্পাদনার ভার গ্রহণ করেন মাত্র ১ বছরের জন্য। ফিরে আসেন সম্পাদক সরলা। ১৯০৫ সালে সরলা দেবী ও রামভজ দত্ত চৌধুরীর বিবাহ হলে, সরলা দেবী চলে যান লাহোরে। লাহোর থেকে সম্পাদনার কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এরপর আবার স্বর্ণকুমারী দেবী ৭ বছর ভারতীর দায়িত্ব নেন। জীবনসঙ্গীকে হারিয়ে, মানসিক ও শারীরিক ভারে জর্জরিত স্বর্ণকুমারী সম্পাদনার ভার দিলেন মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায় ও সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়কে। ৯ বছর পর আবার তাঁরা সরলা দেবীকে অনুরোধ জানান সম্পাদনার ভার নেবার জন্য। তিনি ভারতীর শেষ ৩ বছর সম্পাদক ছিলেন।
বঙ্গাব্দ CE সম্পাদক ১ ১২৮৪ শ্রাবণ–১২৯০ ১৮৭৭ জুলাই–১৮৮৪ দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ২ ১২৯১–১৩০১ ১৮৮৪–১৮৯৫ স্বর্ণকুমারী দেবী ৩ ১৩০২–১৩০৪ ১৮৯৫–১৮৯৮ হিরণ্ময়ী দেবী ও সরলা দেবী ৪ ১৩০৫ ১৮৯৮ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৫ ১৩০৬–১৩১৪ ১৮৯৯–১৯০৮ সরলা দেবী ৬ ১৩১৫–১৩২১ ১৯০৮–১৯১৫ স্বর্ণকুমারী দেবী ৭ ১৩২২–১৩৩০ ১৯১৫–১৯২৪ মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায় ও সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় ৮ ১৩৩১–১৩৩৩ কার্তিক ১৯২৪–অক্টোবর ১৯২৬ সরলা দেবী Website-এর পত্রিকা বিভাগের শিরোনাম-সূচী পাতায় গিয়ে ভারতীর ওপর click করলে, প্রকাশকাল সহ বর্ষ:সংখ্যার তালিকা আসবে। সেই তালিকা থেকে বর্ষ:সংখ্যা অনুযায়ী পরপর রচনাসূচী দেখা যাবে। ভারতীর লেখক লেখিকাদের একটি পৃথক তালিকা আছে। তাঁদের নামের ওপর click করলে তাঁদের লিখিত রচনার তালিকা একসাথে দেখা যাবে।
উপরে উল্লিখিত সম্পাদক পরিবর্তনের বর্ষ গুলি উদ্ধৃতাংশ সহ সংযোজিত হচ্ছে। এছাড়া ভারতীর ৫০ বছরের সম্পূর্ণ সূচী সংযোজিত হচ্ছে। কিন্তু সেগুলিতে উদ্ধৃতাংশ থাকবে না।
উদ্ধৃতাংশ না থাকলেও প্রত্যেকটি রচনাকে বিষয়ভিত্তিক চিহ্নিতকরণ করে দেওয়া হবে।
বিষয়ভিত্তিক তালিকা website-এর তথ্যবিন্দু বিভাগের নিশানা ও চাবিকাঠি পাতায় আছে।
ভারতী প্রকাশনার দীর্ঘজীবনে এসেছে বহু পত্রিকা। সময়ের সাথে সাথে সেই সব পত্রিকার বেশির ভাগই হারিয়ে গেছে। ভারতীতে নিয়মিত নতুন পত্রিকার খবর এবং সমালোচনা প্রকাশিত হত। চাবিকাঠি পাতার পত্রপত্রিকাতে click করলে সেই সব পত্রপত্রিকার তালিকা পাওয়া যাবে।
ভারতীর সূচী ছাড়াও প্রকল্পperiodicalDB-তে আরও পত্রিকার সূচী আছে। সেই সব পত্রিকার সব রচনার কালানুক্রমিক ও বিষয়ভিত্তিক সংযোগ ঘটছে তথ্যবিন্দু বিভাগে। যেমন নিশানা পাতার একটি বিষয়, গ্রন্থ পরিচয় ও সমালোচনা। Website-এ সংযোজিত যে যে পত্রিকায় গ্রন্থসমালোচনা প্রকাশিত হয়েছে, সেই সব রচনার সূচী গ্রন্থ পরিচয় ও সমালোচনায় click করলেই একসাথে পাওয়া যাবে; এর জন্য সব পত্রিকায় আলাদা করে খুঁজে দেখতে হবে না।
প্রকল্পperiodicalDB সম্বন্ধে আরো জানতে website-এর আলাপ বিভাগ দেখুন। Website-টি ব্যবহার ও subscribe করার আগে সহায়িকা বিভাগ দেখুন।
দীর্ঘজীবী পত্রিকা নিশানা বালক ভারতী
Privacy policy